Pages

Sunday, July 1, 2012


ছানি অপসারণের পর ১৩ রোগী দৃষ্টিহীন!


হবিগঞ্জের একটি হাসপাতালে চোখের ছানি অপসারণের ২০ দিন পরও ১৩ জন রোগী দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি। তাঁদের চোখে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। কারও কারও চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। এ নিয়ে রোগী ও স্বজনেরা আতঙ্কে আছেন।
চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অস্ত্রোপচারের এক দিন পরই রোগীরা দেখতে পাওয়ার কথা। রোগীদের সবার বাড়ি জেলার বানিয়াচং উপজেলায়। একসঙ্গে ১৩ জন রোগীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে একাধিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রথম আলোকে বলেন, রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১০ জুন হবিগঞ্জ জাসপোস আধুনিক চক্ষু হাসপাতালে বানিয়াচংয়ের ৫২ জন রোগীর বিনা মূল্যে ছানি অস্ত্রোপচার করা হয়। হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ মো. আবু জাফর ওই দিন একাই ৫২ জনের অস্ত্রোপচার করেন। এঁদের মধ্যে ১৩ জন এখনো দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি। হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীরা বাড়ি যাওয়ার পর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে রোগীরা পুনরায় দৃষ্টি ফিরে পাবেন কি না, এ নিয়ে কিছু বলতে পারছেন না তাঁরা।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার দুজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ বলছেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অস্ত্রোপচার করা হলে সংক্রমণ অস্ত্রোপচারের সময়ও হতে পারে। লক্ষণ শুনে মনে হচ্ছে, যে চোখে রোগীদের অস্ত্রোপচার হয়েছে, সে চোখে তাঁদের দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পরদিনই রোগীর দেখতে পাওয়ার কথা।
ওই ১৩ রোগী হলেন—বানিয়াচং উপজেলা সদরের ছিলাপাঞ্জা মহল্লার মহরম বিবি (৬৮), পাড়াগাঁওয়ের জাহারা খাতুন (৬০), মহব্বতখানীর মসতুরা ঠাকুর (৬৪), এশাদ উল্লাহ (৭৬), আলেক চান বিবি (৭০), দোয়াখানীর শ্রীচরণ নমশূদ্র (৬০), সুদস্য রানী সরকার (৬৫), চান্দের মহল্লার রাবিয়া খাতুন (৬৫), তাতারীর মুলুকজান বিবি (৬২), বানেশ্বর বিশ্বাসের পাড়ার ফরচান বিবি (৭০), প্রথমরেখ মহল্লার লেচু মিয়া (৭০), জাতুকর্ণপাড়ার আতাবুর রহমান (৭৫) ও আলাউদ্দিন মিয়া (৬৮)। এঁদের মধ্যে সাতজন গত ২৯ জুন আবারও জাসপোস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি রোগীদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে।
বানিয়াচংয়ের জাতুকর্ণপাড়ার রোগী আতাবুর রহমান জানান, তাঁর বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন ওই চোখে একেবারেই দেখতে পাচ্ছেন না। চোখে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছেন। সঙ্গে রক্তও পড়ছে।
জানতে চাইলে জাসপোস আধুনিক চক্ষু হাসপাতালের শল্যচিকিৎসক মো. আবু জাফর বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর রোগীদের ভিশন পরীক্ষা করেই ছাড়া হয়েছে। তাঁরা বাড়িতে যাওয়ার পর চোখে সংক্রমণ হয়েছে। অস্ত্রোপচারে কোনো সমস্যা হলে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ত। তার পরও আমরা রোগীদের ঢাকা সরকারি চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠাব।’
রোগীদের ভালো হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে হবিগঞ্জ জাসপোস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল বারী আউয়াল জানান, তাঁর ধারণা রোগীরা বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
বানিয়াচং সদরের আলম নামে এক ব্যক্তি জানান, দৃষ্টি ফিরে না পাওয়া তাঁর এক আত্মীয় এশাদ উল্লাকে কয়েক দিন আগে মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর রোগী আর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন না। রোগীকে চট্টগ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিএনএসবি হাসপাতালের পরিচালক মোজাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই রোগী দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন না—এমন মন্তব্যের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কয়েকজন রোগীকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

JAGO NEWS BD: shobuje bachun

JAGO NEWS BD: shobuje bachun: amraki parina amader barir sade 5 ti kore gas lagate .amader and amader notun projonmer jonno.

JAGO NEWS BD: স্কুলশিক্ষিকার ছবি বিকৃত করে প্রচার, বিএনপি নেতা গ...

JAGO NEWS BD: স্কুলশিক্ষিকার ছবি বিকৃত করে প্রচার, বিএনপি নেতা গ...: স্কুলশিক্ষিকার ছবি বিকৃত করে প্রচার, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার   এক স্কুলশিক্ষিকা ও মানবাধিকারকর্মীর ছবি বিকৃত করে মুঠোফোন ও ইন্টারনেটে ছ...

স্কুলশিক্ষিকার ছবি বিকৃত করে প্রচার, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

 

এক স্কুলশিক্ষিকা ও মানবাধিকারকর্মীর ছবি বিকৃত করে মুঠোফোন ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ আবদুল হামিদ সরদার (৫০) নামের বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার রাত নয়টায় তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে।
ওই শিক্ষিকা ও মানবাধিকারকর্মী জানান, ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর সাতক্ষীরা শহরের লাবণী মোড় এলাকায় তাঁকে লাঞ্ছিত করে মুঠোফোন ছিনতাই করে নেয় কয়েকজন সন্ত্রাসী।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ২৫ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের সমীর দে ও পাইকগাছা উপজেলার বাকা গ্রামের সুশান্ত করসহ কয়েকজনের নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করেন।
জামিনে মুক্তি পেয়ে সমীর দে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এজাহারভুক্ত আসামিদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১ মার্চ সমীর কুমার দে ও হামিদ সরদার মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান। উপায়ান্তর না দেখে তিনি এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সমীর কুমার দে, হীরালাল বিশ্বাস, কার্তিক সরকার, আবদুল হামিদ ও দেবহাটা উপজেলার নাংলা গ্রামের ইয়াসিন আলী তাঁকে চাকরিচ্যুত করবে এবং সম্মানহানি করবে বলে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। ২৩ জুন ওই ব্যক্তিরা তাঁর ছবির সঙ্গে অন্য পুরুষের ছবি বিকৃত করে লাগিয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। এমনকি তাঁর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এসব ঘটনা উল্লেখ করে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত ২৮ জুন রাতে তিনি বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
আবদুল হামিদ জানান, তিনি কালীগঞ্জ ভাড়াসিমলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওই শিক্ষিকা উচ্ছৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করেন। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য হিসেবে তাঁর আচরণ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার প্রতিবাদ করায় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জসিমউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় শিক্ষিকা বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের সমীর দে, আবদুল হামিদসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। আবদুল হামিদকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে গতকাল রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে শিক্ষিকার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

prothom-alo.com

shobuje bachun

amraki parina amader barir sade 5 ti kore gas lagate .amader and amader notun projonmer jonno.